ঝা লকাঠির রাজাপুরে মোটরসাইকেলে করে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ট্রাকচাপায় প্রাণ হারিয়েছে রাব্বি হোসেন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্র। নিহত রাব্বি হ...
শুক্রবার ২৮ জানুয়ারি, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজাপুর-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নিহত রাব্বি হোসেনের বন্ধুসহ তিনজন। তারা হলেন- মনোহরপুর গ্রামের মজনু হাওলাদারের ছেলে ইমরান, ঝালকাঠির কীর্ত্তিপাশা গ্রামের আবুল ফরিদের ছেলে রাজিব এবং কীর্ত্তিপাশা গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে রনি।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, ওই স্কুলছাত্র সকালে তিন বন্ধু ইমরান, রাজিব এবং রনির সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়। এসময় খুলনাগামী একটি ট্রাক সামনে থেকে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে তারা চারজন গুরুতর আহত হয়। এ অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক রাব্বি হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, আহত তিনজনের মধ্যে ইমরান ও রাজিবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যালে এবং রনিকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ট্রাকসহ চালক মেহেদি হাসানকে আটক করা হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ সমূহ
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ব্যবহার, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চালকরা বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অদক্ষ ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মসময় নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করার উপায়
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বেশকিছু পরামর্শ রয়েছে। সেগুলো হলো- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়াতে হবে, চালকের বেতন ও কর্মসময় নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বাড়াতে হবে, পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদেরকে ট্রাফিক আইনের আওতায় আনতে হবে, পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদেরকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে এবং এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা তৈরি করতে হবে, পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত অনেক প্রাণীই ঝরছে, এই বাইক দুর্ঘটনার কারণে। কিন্তু তবুও মানুষ ঠিক হচ্ছে না। এরকম আর কত রাব্বি প্রাণ গিয়েছে তা একমাত্র আল্লাহ তালায় জানে। তাই পুলিশদের ড্রাইভিং লাইসেন্সে এ কঠোর নজরদারির দরকার এবং বাবা মারা দরকার তার ছেলেকে বা মেয়েকে শাসন করা।
No comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.