লেখাপড়ার আবিষ্কারের কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সময় নেই। লেখাপড়ার ধারণাটি ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে, এবং বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন সময়ে বিভ...
লেখাপড়ার আবিষ্কারের কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সময় নেই। লেখাপড়ার ধারণাটি ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে, এবং বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে লেখাপড়ার বিকাশ ঘটেছে।
প্রাচীনতম লেখার প্রমাণগুলি মেসোপটেমিয়া থেকে পাওয়া গেছে, যেখানে খ্রিস্টপূর্ব 4000 সালের দিকে উন্নত সিস্টেমগুলি ব্যবহার করা হচ্ছিল। এই সিস্টেমগুলি চিত্রলিপির উপর ভিত্তি করে ছিল, এবং তারা বিভিন্ন জিনিস, যেমন সংখ্যা, পণ্য এবং ধর্মীয় প্রতীকগুলির প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যবহৃত হত।
খ্রিস্টপূর্ব 3000 সালের দিকে, মিশরে হায়ারোগ্লিফিক লেখার একটি সিস্টেম বিকাশ লাভ করে। এই সিস্টেমটি চিত্রলিপি এবং ধ্বনি লিপির সংমিশ্রণে ছিল, এবং এটি আরও জটিল এবং সূক্ষ্ম ধারণাগুলি প্রকাশ করতে সক্ষম ছিল।
গ্রীসে, খ্রিস্টপূর্ব 800 সালের দিকে, আধুনিক বর্ণমালার একটি প্রাথমিক রূপ বিকাশ লাভ করে। এই সিস্টেমটি শুধুমাত্র স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ব্যবহার করে, এবং এটি গ্রীক ভাষাকে আরও সহজে এবং দক্ষতার সাথে লিখতে সক্ষম করেছিল।
রোমে, খ্রিস্টপূর্ব 700 সালের দিকে, লাতিন বর্ণমালার একটি রূপ বিকাশ লাভ করে। এই সিস্টেমটি গ্রীক বর্ণমালা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, এবং এটি রোমান ভাষাকে লিখতে ব্যবহৃত হত।
বাংলায় লেখাপড়ার প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে। এই সময়ে, পালি এবং সংস্কৃত ভাষায় লিখিত বইগুলি বাংলায় অনুবাদ করা শুরু হয়েছিল।
লেখাপড়ার বিকাশ মানুষের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। এটি মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এবং জ্ঞান বিনিময়কে সহজ করে তুলেছে। এটি সভ্যতার অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য ছিল।
এক কথায়, লেখাপড়ার আবিষ্কারের কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সময় নেই। এটি ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়েছে, এবং বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে লেখাপড়ার বিকাশ ঘটেছে।
No comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.