নিখুঁতভাবে দেখলে আসল টাকা বা ভারতীয় রুপির সঙ্গে গ্রেফতারদের তৈরি করা জাল রুপির পার্থক্য বোঝা যায়। তবে সহজেই তা কারো নজরে আসার মতো নয়। মূলত দ...
নিখুঁতভাবে দেখলে আসল টাকা বা ভারতীয় রুপির সঙ্গে গ্রেফতারদের তৈরি করা জাল রুপির পার্থক্য বোঝা যায়। তবে সহজেই তা কারো নজরে আসার মতো নয়। মূলত দেশে বছরের দুটি ঈদ উৎসব, কোরবানির গরুর বাজার, বৈশাখী কেনাকাটা ও পূজা কেন্দ্র করে বেড়ে যায় জাল নোট চক্রের ব্যস্ততা। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, জালিয়াত চক্রের দক্ষ কারিগরদের তৈরি নিখুঁত জাল টাকাতেও নিরাপত্তা সুতা বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সাধারণভাবে দেখে সেগুলোকে জাল বলে ধরার কোনো সুযোগই নেই বলে মনে করেন একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
বর্তমানে সারা দেশে জাল টাকা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকটা আয়ত্তের বাইরে গিয়ে পড়েছে। এখন জাল টাকার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য ব্যাংকের সিলমোহর ও টাকার ওপর লাগানো ব্যাংকের কাগজও জাল হচ্ছে। জাল টাকার বান্ডিলে শুরুতে ও শেষ দিকে থাকে আসল নোট। মাঝখানে নকল নোট রাখা হয়। হুবহু ব্যাংকের মতো বান্ডিল বানানো হয়। এর ওপর সুতা দিয়ে বান্ডিল বাঁধা হয়। পরে ব্যাংকের সিলমোহর দেওয়া সিøপও লাগানো হয়। জাল নোটগুলো যেভাবে তৈরি করা হয়, তাতে আসল টাকা আর জাল টাকার মাঝে পার্থক্য খুঁজে পাওয়া দায়। সহজে চেনার উপায় নেই, কোনটা আসল আর কোনটা নকল টাকা।
No comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.