ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩-৪

ডেঙ্গু হল একটি মশাবাহিত ভাইরাল সংক্রমণ যা এডিস মশার কামড়ে হয়। এটি একটি গুরুতর রোগ হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি স্ব-সীমাবদ্ধ।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণের 3 থেকে 14 দিন পরে দেখা দেয়। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

উচ্চ জ্বর (104 ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি)

মাথাব্যথা

চোখের পেছনে ব্যথা

গলা ব্যথা

পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা

ক্লান্তি

বমি বমি ভাব বা বমি

র‌্যাশ (কিছু ক্ষেত্রে)

গুরুতর ডেঙ্গু

কিছু ক্ষেত্রে, ডেঙ্গু একটি গুরুতর অবস্থায় পরিণত হতে পারে, যা গুরুতর ডেঙ্গু নামে পরিচিত। গুরুতর ডেঙ্গুর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

উচ্চ জ্বর যা 3 দিনের বেশি স্থায়ী হয়

দ্রুত শ্বাসকষ্ট

পেটে ব্যথা

ত্বকের রঙ পরিবর্তন (ত্বক ফ্যাকাশে বা নীল হয়ে যায়)

রক্তক্ষরণ (নাক, মলদ্বার বা যোনি থেকে)

ডেঙ্গু রোগের নির্ণয়

ডেঙ্গু রোগের নির্ণয় সাধারণত রোগীর লক্ষণ এবং পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে করা হয়। পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে:

রক্ত পরীক্ষা, যা ডেঙ্গু ভাইরাসের অ্যান্টিবডি বা অ্যান্টিজেন সনাক্ত করতে পারে

লিউকোসাইট গণনা, যা রক্তের সাদা রক্ত কোষের সংখ্যা পরিমাপ করে

প্লেটলেট গণনা, যা রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা পরিমাপ করে

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা

ডেঙ্গু রোগের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। চিকিৎসার লক্ষ্য হল লক্ষণগুলি উপশম করা এবং জটিলতা প্রতিরোধ করা। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

বিশ্রাম

প্রচুর তরল

প্যারাসিটামল, যা ব্যথা এবং জ্বর উপশম করতে সাহায্য করে

অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে

ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হল এডিস মশার কামড় থেকে রক্ষা করা। এটি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করে করা যেতে পারে:

মশার প্রজননস্থল অপসারণ করুন, যেমন জলাশয়, টব এবং গাছের পাত্র।

মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করুন।

মশার জাল ব্যবহার করুন।

দীর্ঘ হাতা এবং প্যান্ট পরুন।

ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকি

ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে যারা এডিস মশাবাহিত অঞ্চলে বসবাস করে বা ভ্রমণ করে। ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এমন কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

বয়স: শিশু এবং বয়স্করা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

স্বাস্থ্য: যারা আগে থেকেই অসুস্থ, যেমন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ, তাদের ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন অ্যাসপিরিন এবং আইবুপ্রোফেন, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ডেঙ্গু রোগের জটিলতা

ডেঙ্গু রোগের গুরুতর জটিলতাগুলির মধ্যে রয়েছে:

রক্তপাত

অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ

লিভারের ক্ষতি

কিডনির ক্ষতি

মস্তিষ্কের ক্ষতি

মৃত্য

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url