টিনের বর্তমান বাজার মূল্য ২০২৩
টিন একটি মৌলিক ধাতু যা বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান ব্যবহারগুলি হল ইলেকট্রনিক্স, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, এবং নির্মাণ। টিনের দাম বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে রয়েছে বাজারের চাহিদা, সরবরাহ, এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।
২০২৩ সালের টিনের দাম
২০২৩ সালে, টিনের দাম গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, প্রতি মেট্রিক টন টিনের দাম ছিল ২৪,৫০০ মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের অক্টোবরের ২৩ তারিখে, প্রতি মেট্রিক টন টিনের দাম ছিল ২৬,০০০ মার্কিন ডলার।
টিনের দামের কারণ
টিনের দাম বেড়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
ইলেকট্রনিক শিল্পের চাহিদা বৃদ্ধি: ইলেকট্রনিক শিল্প টিনের বৃহত্তম গ্রাহক। টিন ইলেকট্রনিক সার্কিট বোর্ডগুলিতে সোল্ডারিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে টিনের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরবরাহ হ্রাস: টিনের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। টিনের প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, এবং চিন। এই দেশগুলিতে টিনের উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতিও টিনের দাম বাড়াতে অবদান রেখেছে। অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে টিনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টিনের দামের ভবিষ্যৎ
টিনের দামের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ইলেকট্রনিক শিল্পের চাহিদা বৃদ্ধি এবং সরবরাহ হ্রাসের কারণে টিনের দাম আগামী বছরগুলিতে আরও বাড়তে পারে। তবে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হলে টিনের দাম কমতে পারে।
বাংলাদেশে টিনের দাম
বাংলাদেশে টিনের দামও বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, প্রতি বান (১০০ টিন) ঢেউটিনের দাম ছিল ২৫০,০০০ টাকা। ২০২৩ সালের অক্টোবরের ২৩ তারিখে, প্রতি বান ঢেউটিনের দাম ছিল ২৭৫,০০০ টাকা।
বাংলাদেশে টিনের দাম নির্ধারণ করা হয় বিভিন্ন কারখানার দামের ভিত্তিতে। প্রতিটি কারখানার দাম ভিন্ন হতে পারে। তবে, সাধারণত ঢেউটিনের দাম প্রতি টিন ৩,২৫০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকার মধ্যে থাকে।
টিনের দামের প্রভাব
টিনের দাম বাড়ার ফলে নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও, ইলেকট্রনিক পণ্যের দামও বাড়তে পারে