কোরআনে মরিয়ম ফুল নিয়ে কোনো আয়াত নেই। কোরআনে মারইয়াম (আ.)-এর গল্প বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু সেখানে কোনো ফুলের উল্লেখ নেই। মারইয়াম (আ.) ছিলেন...
কোরআনে মরিয়ম ফুল নিয়ে কোনো আয়াত নেই। কোরআনে মারইয়াম (আ.)-এর গল্প বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু সেখানে কোনো ফুলের উল্লেখ নেই। মারইয়াম (আ.) ছিলেন একজন কুমারী নারী যিনি আল্লাহর ইচ্ছায় ঈসা (আ.)-এর মা হন। তিনি ছিলেন একজন ধার্মিক ও আল্লাহর অনুগত নারী। তিনি মরুভূমিতে একা বাস করতেন এবং আল্লাহর ইবাদত করতেন। একদিন তিনি একটি ঘণ্টা শুনতে পান এবং সেখান থেকে একজন ফেরেশতাকে দেখেন। ফেরেশতা তাকে জানান যে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পুত্র সন্তান লাভ করবেন। মারইয়াম (আ.) এই কথায় অবাক হন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন এবং তিনি ঈসা (আ.)-এর মা হন।
মারইয়াম (আ.)-এর গল্পে ফুলের কোনো উল্লেখ না থাকায়, মরিয়ম ফুলকে মারইয়াম (আ.)-এর সাথে যুক্ত করা একটি ভ্রান্ত বিশ্বাস। এই ফুলের কোনো ধর্মীয় বা বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব নেই।
তবে, কিছু লোক মরিয়ম ফুলকে চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করে থাকে। তারা মনে করে যে এই ফুলের পাপড়ি ভিজিয়ে পানি পান করলে প্রসবকালীন ব্যথা লাঘব হয় এবং সহজে প্রসব হয়। আবার কারো কারো বিশ্বাস, এই ফুল শুঁকেই নাকি মারইয়াম (আ.) গর্ভে সন্তান লাভ করেছিলেন। তবে, এই বিশ্বাসের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
No comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.